দশম শ্রেণী
ইতিহাস
নিচে অনলাইন ক্লাসের ভিডিও লিঙ্ক দেয়া রয়েছে, সেখানে ক্লিক করে ক্লাস গুলি দেখতে পারেন 👇
ক্রিপস মিশন ব্যর্থ হলে ভারতবাসী হতাশ হলো এবং সর্বত্র এক চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হলো । ব্রিটিশ সরকার ক্ষমতা ত্যাগ করতে অনিচ্ছুক । কংগ্রেস নেতারা বুঝলেন যে জাপানী আক্রমণ প্রতিহত করতে হলে ভারতীয়দের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা নিতান্তই দরকার, তাই গান্ধীজীর প্রস্তাব অনুযায়ী ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ৮ই আগস্ট জাতীয় কংগ্রেস ভারতছাড়ো প্রস্তাব গ্রহণ করল । প্রস্তাবে বলা হয় যে ভারত কে স্বাধীন করা হলো ভারতের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটি সামরিক সরকার হবে এবং সরকার ভারতের সকল শ্রেণীর গ্রহণযোগ্য একটি শাসনতন্ত্র রচনার করবে ।
শ্রমিকরা কারখানার মালিকের উপর বিরক্ত হয় একজোট হয়ে আন্দোলন শুরু করে ।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে বলা হয় নব ভারতের জাতীয়তাবাদের উন্মেষ এর সময়কাল । রাজা রামমোহন রায় ছিলেন নব ভারতের উন্মেষের অগ্রতম পথিকৃৎ ।
ভারতের নৌ সেনারা ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল সেটাই নৌবিদ্রোহ ।
সাম্প্রতিক ঐতিহাসিক ঘটনা হলো তেলেঙ্গানা আন্দোলন ।
1857 সালের তেইশে জানুয়ারি সুভাষচন্দ্র বসু উড়িষার কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । পিতার নাম জানকীনাথ বসু । তিনি সেখানে তখন ওকালতি করতেন ।সুভাষের পিতৃভূমি ছিল 24 পরগনা জেলার কোদালিয়া গ্রামে । কটকে পড়াশুনা সেরে কলকাতায় প্রেসিডেন্সি ও সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াশোনা করেন । পরে আই সি এস পরীক্ষা দিয়ে দেশে ফিরে চাকরি না করে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস এর অনুগত সহকারী রূপে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দেন । সংগ্রামের আদর্শ ও কর্মপদ্ধতি সম্বন্ধে গান্ধীজীর সঙ্গে মতবিরোধ হয়, তবুও তিনি জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হন । বহুবার কারাবরণ করেন । পরে ফরওয়ার্ড ব্লক নামে নতুন দল গঠন করেন । স্বগৃহে অন্তরীণ থাকা অবস্থায় গোপনে দেশ ছেড়ে জার্মানিতে পলায়ন করেন ও পরে জাপানে প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করে ব্রহ্মদেশ সীমান্ত দিয়ে মনিপুর পর্যন্ত অগ্রসর হন ।
শ্রমিক আন্দোলন যখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে তখনই তা ট্রেড ইউনিয়ন রূপে মুভমেন্ট শুরু করেন ।
ভারত ক স্বাধীন করার লক্ষ্যে ভারতীয়রা
ইংরেজ কে অসহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নেয় । কোন ক্ষেত্রে ইংরেজ সরকারকে সহযোগিতা করা হবে না এবং ইহা এক বৃহত্তর আন্দোলনের রূপ নেয় ।
No comments:
Post a Comment