Ans : Socialization: Socialization অর্থাৎ সামাজিকীকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া যার ধারা সমধর্মী প্রাণী বা ব্যক্তি একত্রে থেকে নিজেদের মধ্যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া করে এবং সকল রকম সমস্যার সমাধান করতে পারে, পরিবার প্রতিবেশী ও সামাজিক দলের মধ্যে ভালো অভিযোজন ঘটাতে পারে। সত্যিকারের একটি সম্পর্ক গড়ে তুলে যার দ্বারা সুখে-দুঃখে, আনন্দে-উৎসবে একসঙ্গে মিলেমিশে বাঁচার আশায় মেতে ওঠে । অপরের দুঃখে দুঃখ অনুভব করে অপরের বিপদে সহযোগিতা করে ।
J.S. Ross এর ভাষায় "Socialization is the development of we feeling in associates and growth in their capacity and will to act together."
Role of parents regarding socialization of children :
শিশুর সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার উদ্বোধন ঘটে পিতা-মাতার সঙ্গে পারিবারিক পরিবেশে দিনযাপনের মাধ্যমে । পিতা-মাতা শিশুর আশ্রয়স্থল এবং ব্যাপক অর্থে প্রথম শিক্ষাদাতা । পিতা-মাতার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, তাদের মানবিক গুণাবলী, আচার-আচরণ, সন্তান প্রতিপালনের যত্ন, শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠন ও জীবন বিকাশের ধারা নিরূপণ করে । পিতা-মাতা যদি নিম্নলিখিত সামাজিক গুন / বৈশিষ্ট্য সমূহ সঠিকভাবে ব্যবহার করেন তাহলে তার শিশুদের মধ্যে সেই বৈশিষ্ট্যগুলি সুমার্জিত ভাবে প্রবাহিত হবে ।
(i) সমবেদনা : শিশুকে সামাজিকীকরণ করতে তার মধ্যে সমবেদনা জাগিয়ে তোলা প্রয়োজন এর জন্য পিতামাতাকে প্রতিবেশী বা অন্য কারোর দুঃখে সমব্যথী হওয়া প্রয়োজন । অন্যথায় শিশুর মধ্যে সমবেদনার পরিবর্তে তাচ্ছিল্যতা ভাব দেখা যায়।
(ii) সহযোগীতা : পিতা-মাতা যদি সমাজের অন্য সদস্যদের সহযোগিতা করে থাকে তাহলে তার শিশুর মধ্যে সেই ভুল পরিলক্ষিত হয় ।
(iii) অনুকরণ : পিতা-মাতার সুন্দর ভাষা, সুন্দর আচরণ, সুন্দর বসবাস ইত্যাদি শিশু অনুকরণ করার চেষ্টা করে । এই অনুকরণ শিশুকে সামাজিকীকরণ করতে সহজ পথ খুলে দেয় ।
(iv) চিহ্নিতকরণ : শিশুদের ভুল ত্রুটি গুলি সংশোধন করে ভাল গুনগুলি চিহ্নিত করা এবং তাদের সামনে তুলে ধরা বাবা মায়ের কর্তব্য ।
(v) সামাজিক শিক্ষা : শিশুর সঙ্গে বাবা-মায়েরও সামাজিক শিক্ষার প্রয়োজন ।
(vi) পুরস্কার ও শাস্তি : সমাজের বিভিন্ন ঘটনা শিশুর সামনে তুলে ধরতে হবে যেখানে কোনো ব্যক্তিকে কোন কাজের জন্য সমাজ পুরস্কার দিয়েছে, আবার কোন কাজের জন্য শাস্তি দিয়েছে । কোন ঘটনা ও সামাজিক এবং সমাজ স্বীকৃত নয় তার শিশুকে বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দিতে হবে ।
Role of Teacher regarding Socialization of Children
শিশুর পরিবেশে মানিয়ে চলার ক্ষমতা কে বাড়িয়ে তুলে শিক্ষা । শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করেন শিক্ষক । সুতরাং বলা যায় শিশুর সামাজিকীকরনে শিক্ষক হলেন প্রকৃত সহায়ক । শিশুর সামাজিকীকরণে শিক্ষকের ভূমিকা নিম্নরূপ :
(i) শিক্ষক অভিভাবক সম্পর্ক : শিশুর আগ্রহ প্রবণতার মনোভাব সৃষ্টি করতে শিশুর অভিভাবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন । শিশুর বিকাশের জন্য উভয় মিলে তার উপযুক্ত ব্যবস্থা করে দিতে হবে ।
(ii) সংস্কৃতি সঞ্চালন : শিক্ষকের কাজ হবে শিশুদের মধ্যে সভ্যতার সংস্কৃতি রীতিনীতি নিয়ম-শৃঙ্খলা সঞ্চালিত করা । তাদের মধ্যে মূল্যবোধ জাগ্রত করা ।
(iii) প্রতিযোগিতার অনুভূতি : শিক্ষক বিভিন্ন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করবেন । যার দ্বারা শিশুর মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে উঠবে ।
(iv) সামাজিক আদর্শ : শিক্ষক সামাজিক আদর্শকে শিশুদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন ।
(v) বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য : শিক্ষক শিশুদের মধ্যে বিদ্যালয়ের ঐতিহ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য করে তুলবেন । শিক্ষকের কাজ শিশুরা অনুসরণ করবে ।
(vi) দলগত কাজে উৎসাহিত করা : দলগত কাজের ধারা একসঙ্গে মিলেমিশে চলা, সহযোগিতা, সমবেদনা, অনুকরণ করার গুণগুলি জন্মায় । এই শিক্ষক বিভিন্ন দলগত কাজের ব্যবস্থা করবেন ।
(vii) সুস্বাস্থ্য গঠন : শিক্ষকের কাজ হবে শিশুর সুস্বাস্থ্য গঠন করা । যাতে আজকের শিশু আগামী দিনের একজন সুস্থ নাগরিক হয়ে ওঠে ।
Q: Define Emotions.
As a Teacher How to Develop your Student's Emotions.
Ans : Emotions : প্রক্ষোভ অর্থাৎ ইমোশন মানুষের মনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক । মানুষের আচরণ অনেকাংশে তার প্রক্ষোভ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় । প্রক্ষোভ সব সময়ই কোনো না কোনো দৈহিক আচরণের সাথে যুক্ত থাকে । এই আচরণকে বলা হয় প্রক্ষোভমূলক আচরণ ।
R.S. Woodworth এর মতে "emotion is made up or stirred up state of an organism"
প্রক্ষোভ বা আবেগ বা ইমোশন শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ Emovere থেকে । Morgan ও King এর মতে আবেগের পাঁচটি উপাদান থাকা দরকার । সেই উপাদানগুলির হচ্ছে
(i) আবেগের মানসিক বা আত্মনিষ্ঠ অনুভূতি,
(ii) শারীরিক উত্তেজনা,
(iii) শারীরবৃত্তীয় ভিত্তি,
(iv) মৌখিক, ভাষাগত এবং অঙ্গসঞ্চালনমূলক বহিঃপ্রকাশ,
(v) সংশ্লিষ্ট প্রেষণামূলক অবস্থা ।
As a Teacher How can I Develop my Student's Emotions :
শিক্ষার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির প্রাক্ষোভিক বিকাশ সুনিয়ন্ত্রিত ও সুমার্জিত রূপ পায় । সেই কারণে শিশুর মধ্যে সামাজিক জীবনের দিক থেকে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের অনুভূতির সঞ্চয়ে সাহায্য করতে হবে । যেমন- ভালোবাসা, সমবেদনা, সহযোগিতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি । বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের সহ-পাঠক্রমিক কাজ যেখানে শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধভাবে কাজ করার সুযোগ পাবে তার ব্যবস্থা করতে হবে । অপরদিকে শিক্ষার দ্বারা প্রক্ষোভ এর বাহ্যিক আচরণ গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে । যেমন- ভয়, রাগ, ঘৃণা, হিংসা ইত্যাদি প্রক্ষোভ এর অবাধ বহিঃপ্রকাশ সামাজিক জীবনে কাম্য নয় । এইসব প্রক্ষোভ গুলির নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে হবে ।
(i) রাগ : রাগের অসংযত বহিঃপ্রকাশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে । শিশুদের সামনে বিভিন্ন আদর্শ তুলে ধরে অনুবর্তন এর সাহায্যে রাগের কারণ দূর করে অর্থাৎ রাগের বস্তুকে যতদূর সম্ভব সরিয়ে দিতে এবং ধৈর্যের অনুশীলনের মাধ্যমে অহেতুক রাগকে কমাতে হবে । শিক্ষককে অহেতুক রাগ প্রকাশে বিরত থাকতে হবে ।
(ii) ভয় : অনুবর্তন এর মাধ্যমে ছাত্রদের অযথা ভয় দূর করা যায় । যেমন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রতি ভয় । এক্ষেত্রে বারবার পরীক্ষা নিয়ে এবং তার সঙ্গে প্রশংসা বা পুরস্কার দিয়ে এই ভয়কে দূর করা যায় । বিভিন্ন সহজ ও শিশুদের উপযোগী কাজের দায়িত্ব দিয়ে তাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে হবে ।
(iii) বিদ্বেষ : ভয়, রাগের মতো বিদ্বেষ বা হিংসার অবাধ বহিঃপ্রকাশ কাম্য নয় । শিশুদের অতিরিক্ত আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব ও প্রতিযোগীতামূলক মনোভাব তাদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ জাগিয়ে তুলে । শিক্ষার সঠিক নির্দেশনার মাধ্যমে এইরূপ প্রক্ষোভ এর বহিঃপ্রকাশ নিয়ন্ত্রণ করবেন ।
পরিশেষে বলা যায়, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার বয়স অনুযায়ী পরিপূর্ণ জীবন যাপনে সহায়তা করার দায়িত্ব অভিভাবক ও শিক্ষক শিক্ষিকার । এই ব্যাপারে তাদের কর্তব্য হবে শিক্ষার্থীদের প্রক্ষোভমূলক পরিনমন আনার চেষ্টা করা । বিশেষ বয়সের উপযোগী যে পরিমাণ প্রক্ষোভের বিকাশ হওয়া উচিত তাই আনার চেষ্টা করতে হবে শিক্ষক দ্বারা । বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্রিয়া-কলাপ এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা খারাপ প্রক্ষোভগুলিকে সংযত করার প্রশিক্ষণ পাবে।
Q: What is Poverty ?
Discuss the Impact of Poverty on Childhood.
Ans: Poverty : মানুষের স্বাভাবিক ও সচ্ছন্দে বেঁচে থাকার জন্য যে অর্থনৈতিক অবস্থা বা অর্থের প্রয়োজন হয়ে থাকে তার থেকে কম আর্থিক সঙ্গতি সম্পন্ন পরিবারকে দরিদ্র পরিবার বলা হয়ে থাকে । অর্থই পারে মানুষের খাদ্যের যোগান দিতে । খাদ্যের যোগান থাকলে তবেই শিশু তথা পরিবারের সকলের দৈহিক বিকাশ ঘটবে । তাই দারিদ্রতা এমন একটি সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা সমাজের সকল সদস্যদের বিকাশে বিভিন্ন দিক থেকে বিরোধিতা করে ।
Impect of Poverty on Childhood :
দারিদ্রতা এমন একটি অভিশাপ যা শিশুদের সার্বিক বিকাশের অন্তরায় । দারিদ্রতার কারণে শিশুর জ্ঞানের ভান্ডার অপূর্ণতায় ভুগতে থাকে । শিশুর যে সব বিকাশে দারিদ্রতা মুখ্য ভূমিকা নিয়ে থাকে তা নিম্নরূপ -
(i) দৈহিক বিকাশ : শিশুর দৈহিক বিকাশের জন্য খাদ্য এবং পুষ্টি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । কিন্তু পরিবারের দারিদ্রতার কারণে শিশুরা অপুষ্টিতে ভোগে, ফলস্বরূপ শিশুদের দৈহিক বিকাশ ব্যাহত হয় ।
(ii) স্বাস্থ্য : দারিদ্রতার কারণে যেহেতু শিশু অপুষ্টিতে ভোগে ফলে, ফলে তারা বিভিন্ন প্রকার রোগে আক্রান্ত হয় । চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবের কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য খারাপ থাকে ।
(iii) শিক্ষা : দারিদ্রতার কারণে শিশুর দৈহিক বিকাশ এবং স্বাস্থ্য যেমন খারাপ থাকে ঠিক তেমনি শিশুর শিক্ষার উপর ও দারিদ্রতা প্রভাব বিস্তার করে । দারিদ্রতার কারণে অনেক শিশু পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করতে থাকে । ফলস্বরূপ তার শিক্ষা বাধাপ্রাপ্ত হয় ।
(iv) মানসিক বিকাশ : দারিদ্রতা শিশুর মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটানোর একটি বড় উপাদান । দারিদ্রতার কারণে শিশুর স্মৃতি স্মৃতি, মনোযোগ ও শিখন ব্যাহত হয় ।
(v) সামাজিক বিকাশ : দারিদ্রতার কারণে শিশু সমাজের সকল স্তরের অন্য শিশুদের সাথে মেলামেশা করতে পারে না, ফলে তার সামাজিক বিকাশ ব্যাহত হয় । আবার যেকোনো পরিবেশে মানিয়ে চলতে গিয়ে যে রকম আচরণ করতে হয় স্মৃতির, ধারণার সংগঠন ততো তৎপর হতে পারে না ।
(vi) জ্ঞানমূলক বিকাশ : জ্ঞানমূলক বিকাশের অন্যতম প্রধান কারণ দারিদ্রতা । দরিদ্র শ্রেণীর লোকদের মধ্যে দূরবর্তী স্থানে যাওয়ার প্রবণতা কম থাকায় জ্ঞানের ভান্ডার কম থাকে ।
(vii) ভাষার বিকাশ : দরিদ্র শিশুদের বিভিন্ন প্রকার বিকাশ তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় তারা উচ্চারণগত সমস্যায় পড়ে এবং খুব সহজে বেশি বাক্য বলতে পারে না । আবার তাদের স্মৃতিতে শব্দভাণ্ডারও কম থাকায় তারা সকল পরিবেশে থেকে শব্দ, বাক্য, নতুন ভাষা সংগ্রহ করতে পারে না ।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, দারিদ্রতা শিশুদের সার্বিক বিকাশের পরিপন্থী । যদিও আমাদের দেশে দারিদ্রতা শিশুদের বিকাশে যাতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে না পারে, তাই বিভিন্ন ধরনের আইন প্রণয়ন করে শিশুদের বিকাশের চেষ্টা করা হচ্ছে ।
Q: What do you mean by Data ?
উপাত্ত বলেতে কি বোঝ ?
Ans: Data বলতে এমন কিছু তথ্যকে বুঝায় যা নির্দিষ্ট কোনো চলকের বা এক সেট চলকের গুণগত ও পরিমাণগত ধর্মাবলিকে প্রকাশ করে । বেশিরভাগ সময় কোনো পরিমাপ প্রক্রিয়ার ফলে এসব ডেটা সংগ্রহিত হয় । Data বা উপাত্তকে কানেক্টিভিটি গ্রাফ, লেখচিত্র বা তালিকারুপে উপস্থাপন করা যেতে পারে । ডাটাকে অনেক সময় সবচেয়ে নিচের স্তরের বিমূর্ত ধারণা হিসেবে দেখা হয়, যেখান থেকে তথ্য বা জ্ঞান আহরণ করা হয়ে থাকে ।
Q. Discuss the Role of Observation, Interview, Anecdotal Record and Clinical Method as a tools of gethering Data regarding Children.
Ans : Role of Observation Method as a tools of gethering Data regarding Children : শিশুদের ক্ষেত্রে ডাটা সংগ্রহ এর ব্যাপারে Observation পদ্ধতির ভূমিকা গুলি হল :
(i) Observation পদ্ধতি একজন পর্যবেক্ষককে প্রচলিত ধারণা থেকে সরে এসেছে নতুন উপায়ে শিশুকে দেখার অনুমতি দেয় ।
(ii) Observation একজন পর্যবেক্ষককে শিশুর প্রতিদিনের পড়াশোনার বাইরে শিশুর উপর মনোযোগ দিতে অনুমতি দেয় ।
(iii) Observation একজন শিশু দিনের সাধারণ মুহূর্তে কতটুকু দক্ষতা এবং ক্ষমতা প্রদর্শন করে তা দেখার অনুমতি দেয় ।
(iv) Observation একজন শিশুকে তার স্বাভাবিক পরিবেশে দেখার সুযোগ দেয় ।
Role of Interview Method as a tools of gethering Data regarding Children :
ইন্টারভিউ বা সাক্ষাৎকার হলো এমন একটি কাঠামোগত কথোপকথন যেখানে একজন অংশগ্রহণকারী প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে এবং অন্যজন উত্তর দেয় । শিশুদের ক্ষেত্রে ডাটা সংগ্রহের ব্যাপারে ইন্টারভিউ পদ্ধতির ভূমিকা গুলি হল :
(i) উচ্চহারে উত্তর লাভ : ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে শিশুদের কাছ থেকে উচ্চহারে উত্তর লাভ করা যায় ।
(ii) অক্ষম শিশুদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ : অক্ষম শিশুদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে ।
(iii) অনিচ্ছুক শিশুদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ : যেসব শিশু তথ্য প্রদানে অনিচ্ছুক থাকে, তাদের কাছ থেকে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে কৌশলে তথ্য সংগ্রহ করা যায় ।
(iv) সমস্যার গভীরে প্রবেশ করা যায় : শিশুদের সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে সমস্যার গভীরে প্রবেশ এর মাধ্যমে ডাটা সংগ্রহ করা যায় ।
(v) স্বতঃস্ফূর্তভাবে তথ্য সংগ্রহ : ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে শিশুরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তথ্য প্রদান করে থাকে ।
Role of Anecdotal Record as a tools of gethering Data regarding Children :
Anecdotal Record হল একটি নির্দিষ্ট আচরণ বা Interaction এর রেকর্ড করা বিস্তারিত বর্ণনামূলক ব্যাখ্যা । এটি শিক্ষকদের Learning Experience প্লেন করার সময় কিংবা পরিবারকে তাদের শিশুদের সম্পর্কে তথ্য জানিয়ে থাকে । শিশুদের ক্ষেত্রে ডাটা সংগ্রহের ব্যাপারে Anecdotal Record এর ভূমিকা গুলি হল :
(i) এটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে শিক্ষক কিংবা গাইড কর্মীদের শিশুদের সম্পর্কে গতিশীল চিত্র উপস্থাপন করে ।
(ii) শিশুদের জীবনের বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনায় ভিত্তিতে শিশুকে জানতে ও বুঝতে এটি সাহায্য করে ।
(iii) এটি শিশুদের ব্যক্তিত্বের ধরন বুঝতে সাহায্য করে ।
(iv) এটি শিশুদের Adjustment Pattern বুঝতে সাহায্য করে ।
(v) একটি তথ্য সংগ্রহের একটি ভাল মাধ্যম, কারণ এটি শিক্ষক কিংবা সহপাঠীদের সাথে শিশুর সম্পর্কের উন্নতি ঘটায় ।
(vi) শিশুদের উত্তেজনা, উদ্বেগ ইত্যাদি থেকে পরিত্রাণের মাধ্যমে শিশুদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে এটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেন ।
Role of Clinical Method as a tools of gethering Data regarding Children :
শিশুদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের হাতিয়ার হিসেবে ক্লিনিক্যাল মেথডের অনেক গুরুত্ব রয়েছে । যেমন-
(i) শিশুদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের ব্যাপারে ক্লিনিক্যাল পদ্ধতির সাহায্য নিতে হয় ।
(ii) শিশুদের স্বাস্থ্যের প্রতিবন্ধক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইনি কারণে তাদের সাহায্য নিতে হয় ।
(iii) শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশ বয়সের তুলনায় কম হলে তার কারণ অনুসন্ধানের জন্য Clinical Method এর সাহায্য নিতে হয় ।
(iv) শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ক্লিনিক্যাল মেথড এর মাধ্যমে তার পূর্ববর্তী মানসিক অবস্থার তথ্য সংগ্রহ করে কিভাবে তা দূর করা যায় তার ব্যবস্থা করা যায় ।
No comments:
Post a Comment