SMDN Tutorial

Made Learning Easy with Quality Materials.

Breaking

Tuesday, April 19, 2022

April 19, 2022

A Short note on Right to Education Act 2009 in Bengali । শিক্ষার অধিকার আইন 2009

RTE - Right to Education Act
শিক্ষার অধিকার আইন
শিক্ষার অধিকার আইন আসলে হল Right of Children to Free and Compulsory Education Act, 2009 বা শিশুদের বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার আইন । এই বিলটি 4 আগস্ট 2009 ভারতীয় সংসদে প্রণয়ন করা হয় এবং সফলভাবে শিক্ষার অধিকার আইন ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ 21A এর অধীনে আনা হয় 26 আগস্ট 2009 । 1 এপ্রিল 2010 এ আইনটি কার্যকর করা হয়, এতে শিক্ষাকে প্রতিটি শিশুর মৌলিক অধিকারে পরিণত করা হয় ।

শিক্ষার অধিকার আইনটি কি নিয়ে ?

* 6 থেকে 14 বছর বয়সী প্রতিটি শিশুর বিনামূল্যে বাধ্যতামূলক শিক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে । 86 তম সংবিধান সংশোধনী আইন অনুযায়ী সংবিধানের 21A অনুচ্ছেদে  এ কথা বলা হয়েছে । এই সংশোধনীর মাধ্যমেই শিক্ষার অধিকার আইন প্রয়োগ করা হবে ।

* সরকারি স্কুল গুলি প্রতিটি শিশুকে বিনামূল্যে শিক্ষা দেবে এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দ্বারা বিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হবে । বেসরকারি স্কুলগুলো মোট পড়ুয়ার অন্তত 25% শিশুকে বিনামূল্যে ভর্তি করবে ।

* গুনমানসহ বুনিয়াদি শিক্ষার সমস্ত দিতে নজরদারি চালাতে বুনিয়াদি শিক্ষার ভারতীয় কমিশন (National Commission for Elementary Education) তৈরি করা হবে ।

শিক্ষার অধিকার আইন (RTE) 2009 এর প্রধান বৈশিষ্ট্য : 

* ভারতের 6 থেকে 14 বছর বয়সী সকল শিশুর জন্য বিনামূল্যে বাধ্যতামূলক শিক্ষা । বুনিয়াদি শিক্ষা সম্পূর্ন করার আগে কোনো শিশুকে ফেল করানো বা বহিষ্কার করা যাবে না ।

* যদি 6 বছর বয়সের বেশি বয়সী কোনো শিশু স্কুলে ভর্তি না হয়ে থাকে বা তার বুনিয়াদি শিক্ষা সম্পূর্ণ না হয়ে থাকে, তাহলে তাকে তার বয়সের উপযোগী শ্রেণীতে ভর্তি করতে হবে । যদি কোনো শিশুকে তার বয়স অনুযায়ী কোন শ্রেণীতে ভর্তি করে দেওয়া হয়, তাহলে সে যাতে অন্যদের সঙ্গে একই মানে পৌঁছতে পারে, সে জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে । বুনিয়াদি শিক্ষা পাওয়ার লক্ষ্যে ভর্তি হওয়া প্রতিটি শিশু বুনিয়াদি শিক্ষা সম্পূর্ন হওয়া পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা পাবে, এমনকি তার বয়স যদি 14 বছর পেরিয়ে যায় তা হলেও ।

* বুনিয়াদি শিক্ষায় ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে শিশুর বয়স তার জন্মের শংসাপত্র অনুযায়ী নির্নিত হবে । এই শংসাপত্র জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ নিবন্ধন আইন 1856 বা নির্দেশিত অন্য কোন নথি দ্বারা প্রমাণিত হলেই হবে । শুধুমাত্র বয়সের প্রশংসাপত্রের অভাবে কোন শিশুর ভর্তি আটকানো যাবেনা ।

* যে শিশু বুনিয়াদি শিক্ষা শেষ করবে তাকে শংসাপত্র দিতে হবে ।

* ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত নির্দিষ্ট করার বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে প্রাথমিক স্তরে 30:1,  উচ্চ প্রাথমিক স্তরে 35:1 ।

* শিক্ষার গুনমানের উন্নতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

* অর্থনৈতিক দায়িত্ব কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ভাগাভাগি করে বহন করবে ।

* শিক্ষকদের পেশাদারি ডিগ্রি অর্জন করতে হবে ।

শিক্ষার অধিকার আইন চালু করার জন্য সরকারের কর্তব্য 

* অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিশু শিক্ষার অধিকার আইন চালু করার আগে স্কুলের ব্যবস্থা করা সরকারের কর্তব্য ।

* প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের জন্য এক কিলোমিটারের মধ্যে বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে ।

* ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের জন্য তিন কিলোমিটারের মধ্যে বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে ।

* বিদ্যালয় গরিব বঞ্চিত শ্রেণীর বাচ্চাদের প্রতি কোনো রকমের ভেদাভেদ করা যাবে না ।

স্থানীয় সরকারের কর্তব্য 

* 6 থেকে 14 বছরের সকল শিশুদের অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা দান ।

* নিকটবর্তী অঞ্চলে বিদ্যালয় স্থাপন করা । দরকার হলে বিকলাঙ্গ বাচ্চাদের জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করা ।

* দুর্বল শ্রেণীর বাচ্চাদের সাথে পক্ষপাত যাতে না হয়, সে দিকে নজর রাখা ।

* এলাকায় 6 থেকে 14 বছর বয়সী শিশুদের তালিকা প্রকাশ ও তাদের স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করা ।

* শিশুদের স্কুলে ভর্তি করানোর পাশাপাশি তাদের প্রতিদিনের উপস্থিতি এবং অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের উপর নজর রাখা হবে ।

* বিদ্যালয়, শিক্ষক, শ্রেণিকক্ষ এবং শিক্ষণ সামগ্রীর যথাযথ ব্যবস্থা করা ।

* শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা ।

* বাইরে থেকে আসা পরিবারের শিশুদের স্কুলে ভর্তি করানো ।

* শিশুদের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও অভিযোগের প্রতিকার করা ।

পিতা-মাতা ও স্থানীয়দের কর্তব্য 

প্রত্যেক পিতা-মাতা অবস্থান ঈদের কর্তব্য হবে তারা তাদের শিশুদের নিকটবর্তী বিদ্যালয় অবশ্যই ভর্তি করাবেন ।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি (SMC)

বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কমিটি বানানো হয়েছে যা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি বা স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি নামে পরিচিত । এই কমিটিতে কমপক্ষে তিন চতুর্থাংশ সদস্য মাতা পিতা বা স্থানীয় অভিভাবক থাকবেন । এই কমিটিতে কমপক্ষে 50% মহিলা সদস্য থাকবেন ।

বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির দায়িত্ব

* বিদ্যালয়ের কাজকর্ম ঠিকমত চলছে কিনা তা দেখাশুনা করা ।

* বিদ্যালয় উন্নয়নে পরিকল্পনা তৈরি করা ।

* বিদ্যালয়ের ফান্ড / তহবিলের টাকা সঠিক কাজে সঠিক ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা তা দেখা ।

* বিদ্যালয়ের উন্নয়নে সহযোগিতা করা ।

শিক্ষক-শিক্ষিকার দায়িত্ব ও কর্তব্য

* পাঠক্রিয়া পরিচালনা, শিক্ষার্থীকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা, বিদ্যালয় পরিচালনা এবং সামগ্রিকভাবে সমাজ গঠনে ভূমিকা পালন করা ।

* পাঠ্যক্রম পরিচালনা ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সমাপ্ত করা ।

* শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন করা ও তাকে সাহায্য করা ।

* শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, শিক্ষার অগ্রগতি ইত্যাদি বিষয়ে নিয়মিত অভিভাবকদের অবহিত করা ।

পর্যালোচনা

শিক্ষা ক্ষেত্রে যে খরচ হবে তা কেন্দ্র-রাজ্য উভয়ই সরকারই বহন করবে । কেন্দ্র:রাজ্য = 55:45 , উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য গুলির জন্য সেই অনুপাত 90:10

প্রশ্নাবলী

Q: RTE আইনত নাম কি ?
Ans:- Right of Children to Free and Compulsory Education Act.

Q: RTE 2009 সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে ?
Ans:- 21-A

Q: RTE  কখন কার্যকর হয় ?
Ans:- 1 এপ্রিল 2010.

Q: RTE অনুযায়ী কত বছর বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে বাধ্যতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে ?
Ans:- 6-14 বছর বয়সী শিশুদের ।

Q: RTE অনুযায়ী প্রাথমিক স্তরে ছাত্র শিক্ষক অনুপাত কত ?
Ans:- 30:1

Q: RTE অনুযায়ী উচ্চ প্রাথমিক স্তরের ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত কত ?
Ans:- 35:1

Q: শিক্ষার্থীদের বয়সের প্রমাণপত্র না থাকলে কি বিদ্যালয় ভর্তি করা যাবে ?
Ans:- ভর্তি করা যাবে ।

Q: প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর জন্য বাড়ি থেকে কত দূরত্বের মধ্যে বিদ্যালয় হতে হবে ?
Ans:- বাড়ির এক কিলোমিটারের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকতে হবে ।

Q: SMC এর পুরো নাম কি ?
Ans:- School Management Committee.

Q: উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য এর ক্ষেত্রে শিক্ষাক্ষেত্রে কেন্দ্র : রাজ্য খরচ এর অনুপাত কত ?
Ans:- 90:10

Sunday, April 17, 2022

April 17, 2022

Education, Society, Curriculum and Learners Important Questions and Answers, Assignments, Notes for DElEd Exam

Q: শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ

Ans:- শিশু কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো

i) শিক্ষার্থীর স্বাধীনতা :  শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষা ও শিক্ষার্থীর গতানুগতিক শিক্ষার শৃংখল থেকে মুক্ত হয়ে তার নিজের ইচ্ছা ও আগ্রহ অনুসারে শিক্ষা গ্রহণ করার স্বাধীনতা পায় শিক্ষার্থীর বৈচিত্র্যপূর্ণ পরিবেশে নিজের ইচ্ছা অনুসারে শিক্ষা গ্রহণ করে ।

ii) সক্রিয়তাভিত্তিক শিক্ষা : আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতিতে প্রত্যক্ষ কর্মের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীকে হাতে-কলমে শেখানো হয় সেই জন্য আধুনিক শিক্ষার মূল নীতি হলো কাজের মাধ্যমে শিক্ষা ।

iii) মানবিক সম্পর্কের উন্নয়ন : শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষার শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মানবিক সম্পর্কের যথেষ্ট উন্নতি ঘটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পিতাসম বন্ধু দার্শনিক এবং পথপ্রদর্শক শিক্ষার্থী এখানে নিজের চেষ্টায় শিক্ষার্থী যেমন সাহায্য প্রত্যাশা করে শিক্ষক তাকে তেমন সাহায্য করেন শিক্ষক এখানে শক্ষার্থীর একজন সহানুভূতিশীল শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন ।

iv) মনোবিদ্যার আদর্শ প্রয়োগ : শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে মনোবিদ্যার পরীক্ষণমূলক তথ্য এবং নীতিগুলি প্রয়োগ করা হয় শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষার পদ্ধতিতে যুক্তির থেকে মনস্তত্ত্বের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় ।

v) স্বতঃস্ফূর্ত শৃঙ্খলা : শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষার মূল শৃঙ্খলা বাহ্যিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় না বৈচিত্র্যপূর্ণ সৃজনশীল সমবায়ভিত্তিক কাযকরী অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী শৃংখলার মূল্য অবহিত হবে ।

vi) জীবন কেন্দ্রিক শিখন পদ্ধতি : শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষার মূল ধারণা গ্রহণ করে বর্তমানে সারাবিশ্বে শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশে গড়ে উঠেছে নানারূপ শিক্ষা পদ্ধতি অনুশিক্ষণ পদ্ধতি উৎপাদন পদ্ধতি মিথস্ক্রিয়া মূলক পদ্ধতি বিশ্লেষণ পদ্ধতি ইত্যাদি ।

vii) শিক্ষার্থীকে সুনাগরিক তৈরি করা : এই শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থী নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী আগ্রহ অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তোলে ফলে সে সুবিধা-অসুবিধার নেয়ায় অন্যায় আচরণ গুলি এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নিজেকে আদর্শ নাগরিক রূপে তৈরি করতে পারে ।


Q: ভারতবর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে প্রারম্ভিক শৈশবের শিক্ষায় পরিবারের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করুন

Ans :- প্রারম্ভিক শৈশবের শিক্ষায় পরিবারের ভূমিকা গুলি হল :-

i) মধ্য দিয়ে শিশুর মধ্যে মূল্যবোধ গড়ে ওঠে ।

ii) সামাজিক আচরণের শিক্ষা : পরিবার শিশুটি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক আচার আচরণর শিক্ষা দেয় পরিবারের মিথস্ক্রিয়া করতে করতে শিশু বিভিন্ন আচার আচরণ শিখে ফেলে ।

iii) সংস্কৃতির শিক্ষা : পরিবার স্কৃতিক চেতনার বিকাশে সহায়তা করে পরিবারে শিশুর মধ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটায় ফলে শিশু সংস্কৃতি বোধ জেগে ওঠে ।

iv) প্রাক্ষোভিক বিকাশের শিক্ষা : পরিবার শিশুর ভাবাবেগ গুলিকে যথাযথ বিকশিত হতে সাহায্য করে সংযত প্রাক্ষোভিক আচরণ শিক্ষায় শিশুর সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়ে ওঠে ।

v) জ্ঞানার্জনের শিক্ষা : বিভিন্ন ধরনের গানের সঙ্গে পরিচিত করে জ্ঞানার্জনের শিক্ষার প্রকৃতপক্ষে পরিবারেই শুরু হয় ।

vii) সু-অভ্যাস গঠনের শিক্ষা : পরিবার শিশুকে বিভিন্ন ধরনের অভ্যাস গড়ে তুলতে শেখায় ঐ সুঅভ্যাসগুলোর পরবর্তীকালে শিশুকে সুনাগরিক হয়ে উঠতে সাহায্য করে ।

viii) আধ্যাত্মিক ও নৈতিক শিক্ষা : শিশু আধ্যাত্মিক চেতনা অথবা ভালো-মন্দ নিয়ে জন্মায় না পরিবারে শিশুর মধ্যে আধ্যাত্মিক ও নৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটায় ।


Q : শিক্ষাক্ষেত্রে ডিউই এর অবদান আলোচনা করো

Ans :- ডিউই তার শিক্ষা চিন্তা ও পরিকল্পনায় স্বাধীন ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপযোগী একটি আদর্শ গণতান্ত্রিক শিক্ষা ধারণাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি ব্যক্তি জীবন ও সমাজ জীবন গৃহ বিদ্যালয় জীবন দৈহিক ও মানসিক বিকাশ এবং তথ্যমূলক গুলির মধ্যে সমন্বয় রচনা করে একটি গতিশীল সামগ্রিক শিক্ষার রূপ গড়ে তুলতে চেয়েছেন শিক্ষায় ব্যক্তির স্বাধীন সৃষ্টিশীল বৃদ্ধির দিকে তিনি সমাজ বাস্তবতার সঙ্গে সমন্বিত করেছেন এবং তার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক শিক্ষার রূপ তুলে ধরেছেন ডিভিশন প্রয়োগবাদী দার্শনিক রূপে শিক্ষার কোন চূড়ান্ত লক্ষ্য অস্থায়ী মূল্যবোধের প্রতি বিশ্বাস রাখেন নি তিনি সমস্ত কিছুতেই ক্রিয়াশীল অভিজ্ঞতা ও বাস্তব ফল ধানের মাপকাঠিতে বিচার করার পক্ষপাতি সমালোচকগণ মনে করেন যে এই তাৎক্ষণিক মূল্যবোধের ধারণাকে সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করলে অনেক দীর্ঘস্থায়ী মানসিক ক্রিয়ার তাৎপর্যকে অস্বীকার করা যায় যার শিক্ষামূলক গুরুত্ব অপরিসীম এর মতে শিক্ষার কোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকে না অর্থাৎ শিক্ষার সমন্বয় হল লক্ষ আর প্রতিক্রিয়ায় হলো লক্ষ্য পূরণের উপায় বা পদ্ধতি সামগ্রিক বিচারে শিক্ষকদের মূল্যায়ন করতে গিয়ে আমরা প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ Ruak এর সঙ্গে একমত হয় বলতে পারি 'In him or her concentrate in a special degree the progressive tenderness of his age.' Ruak এর মতে 'Dewey was a great educationist because he was a great philosopher.'

ডিউই এর পাঠক্রমিক ধারণার সঙ্গে সমন্বিত হয় তার শিক্ষা পদ্ধতির ধারণাটিও গড়ে উঠেছে ডিবি শিক্ষণে শিশু self-learning বা আত্ম শিখনের উপর জোর দিয়েছেন এই অর্থে শিশু তার আত্ম প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে শিক্ষা লাভ করে শিশু নিজেই তার শিখনের উদ্দেশ্য ও বিষয়কে নির্বাচন করবে যার মধ্যে তার কোন বৃদ্ধিমূলক চাহিদা পূরণের প্রশ্ন বা সমস্যা যুক্ত থাকে এই সমস্যাটিকে আত্ম সক্রিয়তার মূলক কর্মপ্রয়াস এর মাধ্যমে সমাধান করাই তার আত্মজীবনী মূলক বৃদ্ধি সাধন এর ভিত্তি গড়ে তুলে এই সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়াটি এর মতে শিক্ষার আদর্শ পদ্ধতিতে বুঝিয়ে থাকে প্রবলেম সলভিং মেথদ নামে পরিচিত এর মধ্যে থেকেই উদ্ভব হয়েছে এর এই শিক্ষণ পদ্ধতির মধ্য দিয়ে কার্যকর হয়ে থাকে এগুলো হল
* সমস্যার পরিচয় বা নির্ধারণ
* সমস্যার বিশ্লেষণ 
* সমস্যা সমাধানের সম্ভাব্য পরিকল্পনা 
* পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করা 
* অর্জিত অভিজ্ঞতা ও সাফল্য ব্যর্থতা সম্পর্কে মূল্যায়ন

ডিবি তার পদ্ধতিকে লার্নিং ড্রয়িং বা হাতে কলমে কাজ অভিজ্ঞতা অর্জনের প্রক্রিয়া কে আদর্শ শিক্ষা পদ্ধতি বলেছেন শিক্ষকের ভূমিকা নির্ধারণ করতে দিবি শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ সাধনের উপযোগী পরিবেশ সংগঠন ও পদ্ধতি যাতে বাস্তব রূপ লাভ করতে পারে সে সম্পর্কে একজন পর্যবেক্ষক ও সাহায্যকারী বিশেষজ্ঞ রূপে বিচার করেছেন শিক্ষা সম্পর্কে শিশুর স্বাধীন আত্মসম্মান ধারণাটি উপস্থিত উপস্থিত করেছেন এদিকে আমরা মুক্ত শৃংখলার ধারনা বলতে পারি এই উদ্দেশ্যে বিদ্যালয় গৃহ জীবনের অনুরূপ একটি স্বাভাবিক সংগঠন হিসেবে বিদ্যালয় জীবন সংগঠনের কথা বলেছেন ।

Q: আধুনিক শিক্ষায় রবীন্দ্রনাথের অবদান আলোচনা করুন 

Ans:- শিক্ষাক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের অবদান এই অল্প পরিসরে আলোচনা করা সম্ভব নয় নতুন শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন কোন দৃষ্টিভঙ্গির উদ্ভাবন না হলেও রবীন্দ্রনাথের সৃজনশীল প্রতিভা শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রের উপর বিচ্ছুরিত হয় নতুন আলোর সন্ধান দিয়েছে বিশ্বভারতী শিক্ষাব্যবস্থা পর্যালোচনা করলেই উপলব্ধি করা যায় এ ধরনের কিছু কিছু বিষয়ের উপর আলোকপাত করলাম :

i) আধ্যাত্মিকতার প্রতি গভীর উপলব্ধি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা ভাবনা মূল উৎস শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য পাঠক্রম শিক্ষণ পদ্ধতি শৃঙ্খলা শিক্ষক শিক্ষার্থী সম্পর্ক সর্বক্ষেত্রেই আধ্যাত্মিকতার স্পর্শ ছিল এর অর্থ এই নয় যে তার চিন্তার মধ্যে বিজ্ঞান অবহেলিত ছিল প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষার ভিত্তি করেই তিনি পাঠক্রম শিক্ষাপদ্ধতি প্রকৃতি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন এবং বিশ্বভারতীতে তার প্রয়োগ করেছেন তবে সেখানেও আধ্যাত্মিকতা থেকে উৎস চিন্তার স্পর্শ ছিল আধ্যাত্মিকতা ও বিজ্ঞান এ দুটি পরস্পরবিরোধী বলে মনে করেন উভয়ের সমন্বয় সাধন করা তাঁর শিক্ষা চন্তার মূল লক্ষ্য ছিল পাঠক্রমে তাই মানবিক বিষয় গুলির সঙ্গে বিজ্ঞানের বিষয় গুলি কে গুরুত্ব দিয়েছিলেন ।

প্রকৃতিক দেওয়া গাছপালা বৃদ্ধ উন্মুক্ত আকাশের নিচে পাঠদান এর বিজ্ঞান ভিত্তিক মনস্তাত্ত্বিক নীতিগুলি অনুসরণ করে তিনি শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন ক্ষেত্রেও চাপিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে ঈশ্বরের সৃষ্ট বিশ্বপ্রকৃতির শৃঙ্খলা বজায় আছে তার উপলব্ধির মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী শৃংখলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে এবং তার আচরণ হবে ভালো-মন্দের নিরিখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি প্রাচীন ভারতবর্ষের গুরুকুল ব্যবস্থা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন যেখানে ঈশ্বর ওনার মধ্য দিয়ে দিন শুরু হয় এবং মন্ত্রোচ্চারণের শেষে শিক্ষার্থীরা যায় ।

ii) রবীন্দ্রনাথ ব্যক্তির বিকাশ এর মধ্যেই শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ রাখেননি সামাজিক বিকাশে সমাজ চেতনার বিকাশ এর প্রতি তিনি সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন শিক্ষার্থীদের পল্লীমঙ্গল এর জন্য নির্দিষ্ট কাজের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন এই উদ্দেশ্য বিশ্বভারতীতে শ্রীনিকেতন বিভাগ তিনি চালু করেন ।

iii) ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক শিক্ষা আন্দোলনের ভূমিকা গ্রহণ করেছে কবিগুরু সে কথা বহু পূর্বেই বলেছেন এবং বিশ্বভারতীতে তার প্রয়োগ ঘটিয়েছেন তিনি বিভিন্ন ভবন প্রতিষ্ঠা করেছেন বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দিনে বিশ্বভারতীতে আহ্বান করেছেন প্রত্যাশা ছিল এই শিক্ষার মধ্য দিয়ে তার স্বপ্নের বিশ্ব মানব সৃষ্টি হবে ।

iv) শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে মাতৃভাষার ব্যবহারের কথা বলে শিক্ষা মনুষ্যত্বের প্রতি তার গভীর জ্ঞানের পরিচয় দিয়েছেন ।

v) শিক্ষার সঙ্গে যে বৃত্তির নিগূঢ় সম্পর্ক আছে ব্যক্তি মানুষ ও সমাজের প্রত্যাশা যে ব্যক্তিকে স্বনির্ভর করে তুলে সমাজের উন্নয়ন করে কবিগুরু তা সম্ভব হবে উপলব্ধি করে বাংলার কুটির শিল্পের কোন উদ্ধারের জন্য বিশ্বভারতীতে শিল্পসদন প্রতিষ্ঠা করেন ।

এইভাবে ব্যক্তি ও সমাজ বিকাশের বিভিন্ন দিকে শিক্ষার ভূমিকার কথা উল্লেখ করে এবং তার প্রয়োগের ব্যবস্থা করে রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা কেমন উন্নত স্তরে নিয়ে গেছেন যে এই একবিংশ শতাব্দীতেও তার প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন ওঠেনা সমস্ত দিক থেকেই রবীন্দ্রনাথ ছিলেন মহান তিনি তার জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার জন্য ব্যয় করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন কোন একটি জাতির পরিচয় পাওয়া যায় তা সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে তিনি সমস্ত রকম কুসংস্কার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন তিনি ভারতীয় জনগণকে শিক্ষাব্যবস্থাকে সর্বোপরি ভারতবর্ষকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন এবং ভাতৃত্ববোধ ও বিশ্বশান্তির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ।

Monday, April 11, 2022

April 11, 2022

STSE 2022 । Special Educator Recruitment in Tripura 2022 । Download Notification, Exam Syllabus, Apply Online

শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড, ত্রিপুরা (টিআরবিটি)
শিক্ষা (স্কুল) বিভাগ,  ত্রিপুরা সরকার ।
বিশেষ শিক্ষাবিদ নিয়োগ হবে  (STSE)-2022 পরীক্ষার মাধ্যমে , Selection Test for Special Educator 2022

আসন: SC-34, ST-62, UR-104 
মোট পোষ্ট -200।

বয়স সীমা: 11/04/2022 অনুযায়ী 18 থেকে 40 বছর।
(বয়স শিথিল: 5 বছর SC/ST/PH এবং সরকারি কর্মচারী)

প্রয়োজনীয় যোগ্যতা:
50% নম্বর সহ স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর ও বিএড (Special Education) , RCI recognised প্রতিষ্ঠান থেকে ।
পাশ মার্কস : 150 এর মধ্যে 75,
(SC/ST/PH-এর জন্য 5% নম্বর শিথিলকরণ অর্থাৎ 68 মার্কস পেলে পাশ বলে গণ্য করা হবে )

আবেদন ফী:
সাধারণ: Rs.300/-, ST/SC/BPL/PWD: Rs. 200/-

পরীক্ষার তারিখ: 12/06/2022 (দুপুর 12 টা থেকে 2.30 টা)।

অনলাইন আবেদন শুরু হচ্ছে
27/04/2022 তারিখে  ।

অনলাইন আবেদনের শেষ তারিখ: 05/05/2022 (4.00 PM)।
প্রাথমিক বেতনক্রম : ₹20475/-

Visit TRBT Official Website : Click Here >>

Download Notification : Click Here >>

Download Syllabus : Click Here >>

Apply Online : Click Here >>


View Details Advertisement : Watch Video